ভারতে বিশাল বিটকয়েন সুযোগ

চীনের মতো একই শ্বাসে ভারতকে প্রায়শই উল্লেখ করা হয়, যে দেশটি বেশিরভাগ সংস্থাই উপস্থিত থাকতে চায়।

এই দশকের শুরুতে, টাইম ম্যাগাজিন চীনকে "উদীয়মান বাজারগুলির মাইকেল জর্ডান" হিসাবে স্বীকৃতি দেয়, কিন্তু ভারতকে "মাইকের মত হতে" বলে মনে করে, যা শীঘ্রই বিশ্ব বাজারগুলিতে বড় প্রভাব ফেলবে। সেই সময়ে, লরেন্স সামাররা, যিনি ছিলেন, প্রেসিডেন্ট ওবামার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, তিনি বলেন, "সম্ভবত ..in ২040, মুম্বাইয়ের সমঝোতার চেয়ে ওয়াশিংটন সমঝোতা বা বেইজিং সমঝোতা সম্পর্কে আলোচনা কম হবে।" একটি মুম্বাই সমঝোতা "মানুষের ক্রমবর্ধমান মাত্রা এবং একটি বিস্তৃত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উপর কেন্দ্রীয় গুরুত্ব।"

আউটসোর্সিংয়ের জন্য ভারত বিশেষ করে কল সেন্টার এবং প্রযুক্তি প্রকল্পগুলির জন্য হটবেড হয়েছে। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনের ব্রিকের সাথে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের পণ্যগুলি জোরদার করেছে যা এই দেশে উত্থাপিত প্রবৃদ্ধি থেকে লাভের কার্যকর উপায়। এই ধারণাগুলি এই ধারণার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিল যে "চীন ও ভারত ২050 সালের মধ্যে তৈরি পণ্য ও সরবরাহের বিশ্বব্যাপী সরবরাহকারী হয়ে উঠবে।"

তত্ত্বের ভিত্তিতে, দুই দেশ একে অপরের প্রতি সরাসরি বিরোধিতা করে। চীনের বৃহত্তম কমিউনিস্ট দেশ এবং ভারত 1.1 বিলিয়ন অধিবাসীর সাথে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। প্রকৃতপক্ষে, চীন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হলেও ভারতের উচ্চ প্রজনন হার ২030 সালের পূর্বে এই বিভাগে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। ভারতের এই বিস্ময়কর বৃদ্ধি এবং সুযোগ অনেক ব্যবসায় ও বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

এই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি হল ব্যক্তিগত ইকুইটি ফার্ম, ব্ল্যাকস্টোন, যা ২005 সাল থেকে ভারতে 6 বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। দেশে তাদের সাম্প্রতিক বিনিয়োগগুলি বেশিরভাগ প্রযুক্তি ও সফ্টওয়্যার পরিষেবাদিতে রয়েছে। মার্স্ক গ্রুপ, যা একটি বিশ্বব্যাপী শিপিং এবং সরবরাহ সংস্থা এবং ইতিমধ্যে ভারতে 800 মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, সেখানে আরও বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজছে।

এই অব্যাহত বিনিয়োগগুলি এমন একটি দেশ হিসাবে ভারতকে খুঁজে পেয়েছে যা সাম্প্রতিক অতীতে তার রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলির জন্য সমালোচিত হয়েছে। ভারতে একটি বড় উদ্বেগ ভারতে নগরায়ণে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে দ্রুত বৃদ্ধি থেকে উপকার লাভের লক্ষ্যে লক্ষ লক্ষ গ্রামবাসীর শহরগুলিতে চলে এসেছে। এটি অবকাঠামো এবং জীবনযাত্রার অবস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি মুখপাত্র বলেছেন যে আমেরিকান কোম্পানিগুলি ভারতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী, কিন্তু তারা দেশের চলমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য "স্থিতিশীলতা, আইনি নিশ্চিতকরণ" চায়।

তার সব সমস্যার সাথে, দেশের জন্য ইন্টারনেটের সবচেয়ে বড় প্রবৃদ্ধি মরগান স্ট্যানলি রিসার্চ দেশের ভবিষ্যতে ভবিষ্যতে ভবিষ্যতে বৃদ্ধি পায়। এই প্রবৃদ্ধিগুলি দেশের জন্য আগ্রহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সংস্থাগুলির ব্যবসাগুলি বাস্তবায়নের জন্য যা ইকোকার এবং অর্থ স্থানান্তরকে উন্নত করে এই প্রবৃদ্ধি থেকে উপকার লাভ করে। এই প্রবণতাটি কাজে লাগাতে এবং দেশে আর্থিক নমনীয়তা তৈরির জন্য, ভারতের জাতীয় পেমেন্ট কর্পোরেশন একটি ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস (ইউপিআই) বিকাশের জন্য কাজ করছে যা ভারতকে নগদহীন সমাজে পরিণত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত।

দেশের অভ্যন্তরে উদ্যোক্তারা এটি বিটকয়েন এবং দেশের মধ্যে অন্যান্য ক্রিপ্টোকারিনের বিস্তারের জন্য প্রাকৃতিক সুযোগ হিসাবে দেখছেন। রিপোর্ট করা হয়েছে যে বর্তমানে ভারতে প্রায় 30,000 বিটকয়েন মালিক রয়েছে, এবং এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এমনকি ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকও বিটকয়েনকে ভবিষ্যতের মুদ্রার রূপে স্বীকার করেছে।

গ্রীনব্যাঙ্ক ক্যাপিটাল ইনকর্পোরেটেডের চেয়ারম্যান ও সিইও, ড্যানি ওয়েট্রেইচ, সিনে টেলিগ্রাফের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে বলেন, " ভারত সরকার একটি নগদহীন সমাজের দিকে সরানো সঠিক জিনিস করছে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহার ইউপিআই সঙ্গে বৃদ্ধি হবে। "

ভারতে উদ্বোধন করা বিটকয়েন সুযোগের সন্ধানে খোঁজার জন্য একটি ইন্ডিয়া কোম্পানী কয়েনসেচার, যা ভারতের বিটকয়েন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম। কোম্পানির সিইও মোহিত কালরা, সিইও সিওনলেগ্রাফকে বলেন যে তার বিশ্বাস হল, "বিটকিন একটি সম্পূর্ণ বৈশ্বিক, বিকেন্দ্রীভূত নেটওয়ার্ক যা বিশ্বের নাগরিকদের সাথে ভারতীয় নাগরিকদের সংযোগকারী একটি উন্নততর প্রযুক্তি।

ভারতে বিটকয়েনের জন্য হত্যাকারী অ্যাপ্লিকেশন আসলে অর্থ প্রেরণ হতে পারে। অনেক ভারতীয় দেশ থেকে বাইরে কাজ করছে এবং দেশে ফেরত পাঠানোর মাধ্যমে প্রায় 100 বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে। দেশে বিটকয়েনগুলি কিনতে এবং বিক্রি করার উপায় সরবরাহকারী দেশটিতে আরেকটি স্টার্টআপ যা জেবপেইয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিওও সন্দীপ গোয়েনকা বলেন, "ভারত 70 বিলিয়ন ডলারেরও বেশি দেশে বিশ্বের বৃহত্তম রেমিটেন্স বাজার।"

সিওনটিলগ্রাফের সুযোগের মূল্যায়নটি তার বিশ্বাসকে প্রকাশ করে যে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বা ব্যাঙ্কের পরিবর্তে বিটকিন ব্যবহার করা হলে দেশটি $ 7 বিলিয়ন মার্কিন ডলার ফি সঞ্চয় করবে। নিবন্ধটি নির্দেশ করে যে বিটকিনের জন্য সুযোগটি দুর্দান্ত, কিন্তু এমন একটি দেশে যা অবিলম্বে উদ্ভাবনী ও সামাজিক সমস্যাগুলির মতো সাম্প্রতিক উদ্বেগগুলিকে মোকাবেলা করতে বাধা দেয়, এই অনুভূতিতে এই আন্দোলনের পিছনে আসন ফিরে পেতে এবং অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে ভারতে বিটকয়েন সম্পূর্ণ সম্ভাবনা সময় নিতে পারে।

তবে, এটা স্পষ্ট যে দেশে উদ্যোক্তারা এবং দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগকারীরা এবং দেশের বাইরে এখনও বসে নেই। সুযোগ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের মধ্যে খুব বড়।